ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের রাজনৈতিক অঙ্গনে ত্যাগী ও পরিশ্রমী সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক। তিনি একাধারে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। খবর নিয়ে জানা যায় সুনামের শহীদ সাংবাদিকতা পেশায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ও খেলাধুলার প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা রয়েছে এবং দুঃসময়ে বিএনপির সাথে ছিলেন তিনি । দীর্ঘদিন ধরে তিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে কাজ করে আসছেন। তবে তার এই সংগ্রামী পথচলা সহজ ছিল না। বিভিন্ন সময় তাকে হয়রানি, ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে।
মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক ময়মনসিংহের মুকুল নিকেতন স্কুলের ১৯৯৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
লীলা দেবী শিল্ডকাপসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলা ক্রিকেট দলে খেলেছেন এবং জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার ক্রীড়া নৈপুণ্যের জন্য ময়মনসিংহের ক্রীড়াঙ্গনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।
রাজনীতির প্রতি আগ্রহ থেকেই তিনি ১৯৯৯ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলে যোগ দেন। তৎকালীন জেলা ছাত্রদল সভাপতি রতন আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক টুটুর নেতৃত্বে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন। ১৯৯৫-৯৬ সালে ময়মনসিংহ জজ কমার্শিয়াল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের প্রার্থী হিসেবে জেনারেল সেক্রেটারি (জি.এস.) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরবর্তীতে তিনি ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সহ-ক্রিড়া সম্পাদক হিসেবে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। একবার তাকে গুলি করা হয়েছিল, যার চিহ্ন আজও তার শরীরে রয়েছে।
গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ায় সাদেকুর রহমান সাদেক নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুর অনুসারীদের দ্বারা তার ১১ শতাংশ জমি দখল করার চেষ্টা করে । সম্প্রতি গণ্ডাপা এলাকার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী রাশেদুজ্জামান নোমান নামে এক ব্যক্তি তার ১৮ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিনেছেন। এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণ হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে তাকে সর্বস্বান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সাদেকুর রহমান সাদেক প্রণাম ধন্য পত্রিকা দৈনিক সময়ের কাগজের ময়মনসিংহ বিভাগীয় ব্যারো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ লিগাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস সার্ভিস ফাউন্ডেশনের ময়মনসিংহ মহানগর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পক্ষে ছিলেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন।
তবে সত্য প্রকাশ করায় তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অনিয়ম তুলে ধরার কারণে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিছু অসাধু সাংবাদিককে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।এ ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ময়মনসিংহের সিনিয়র সাংবাদিকগণ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা।