ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ঃ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভালুকা উপজেলার জনগনের কাছে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরতে প্রতিনিয়ত উঠান বৈঠক, কর্মীসমাবেশ ও মোটারসাইকেল শোভাযাত্রসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উজ্জীবীত করে চলেছেন ময়মনসিংহ (ভালুকা)- ১১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম ।
উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট ভালুকা গড়তে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ (ভালুকা)- ১১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চান তিনি। হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের ।
প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য অনুরোধ করছের তিনি। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও তাকে নিয়ে আশা করছেন। কর্মী সমর্থকদের কাছে হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিত।
স্কুল জীবন থেকে হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম তখন বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির হবির বাড়ি ইউনিয়নের ২০০৫ সাল হতে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ ময়মনসিংহ জেলা ২০০৯ সাল হতে সম্পৃক্ত আছে, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভালুকা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ময়মনসিংহ জেলা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
করোনা মহামারি কালীন সময়ে ভালুকা প্রায় ২৫০০০ হাজার সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন । মাক্স বিতরণ করেছেন বিভিন্ন সময়ে মসজিদ মাদ্রাসায় অনুদান প্রদান করে থাকেন অসহায় গরীব দরিদ্র মানুষের ঈদের সময় বস্ত্র বিতরণ করেন। শীতকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন ।গেল ১৫ বছর যাবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন।ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামী অনুশাসনে বিশ্বাসী এ নেতা গোটা ভালুকার বাসীর গর্ব। তার পিতা
মরহুম হাজী মতিউর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধ চলাকালী সুসংগঠিত করেছিলেন ও পরিবারের সকলেই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত । তার সহধর্মিণী মাহমুদা আক্তার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী লাল মাহমুদ এর কন্যা। হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম
আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে দলের চরম দূর্দিনের সময় তিনি ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির প্রতি প্রচণ্ড আত্ববিশ্বিাসী বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ হিসেবে আছেন । হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম জনসেবায় নিজেকে সব সময় জড়িয়ে থাকতে পছন্দ করেন। তার ব্যক্তিগত অফিস ও বাসভবনে গিয়েও এমন চিত্র দেখা যায়। বর্তমান স্থানীয় এমপি থাকা সত্বেও লোকজন বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিতে আসেন তার নিকট। সদালাপি ও ধৈর্য্য ধরে কথা শোনার কারণে মানুষেরও আগ্রহে থাকছেন সবসময়।
ময়মনসিংহ জেলা শাখার গুরুত্বপূর্ন পদ কোষাধক্ষ দায়িত্বে থেকে বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যদা অর্জন করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগনের মাঝে তুলে ধরছেন তিনি। সেই সঙ্গে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ, সুন্দর এবং বাসযোগ্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে তরুণ যুবকদের কাজে লাগাতে চান তিনি। গড়তে চান স্মার্ট ভালুকা। বিএনপি জোট সরকারের সময় দলের দু:সময়ে ভালুকা উপজেলা আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ করেছেন তিনি। হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। ও পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় বিএনপির মিথ্যা মামলা জেল কেটেছেন।
বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত হিসেবে তাকেই নেত্রী মনোনীত করবেন বলে আশাবাদী তিনি ও তার সমর্থকরা। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে দলের ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করবেন বলেন দাবি করেছেন তিনি।
ভালুকা উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামী অঙ্গ-সংগঠনের সমর্থকরা আছেন তার সঙ্গে। তার অনুসারীরা মনে করছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তিনি নৌকার প্রতিক নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অপরাপর প্রার্থীর থেকে এবার হাজী মোঃ রফিকুল ইসলামের কোনও বিকল্প নেই।